জাহানারা বেগম খুব অস্থির বোধ করছেন ৷ প্রতি ফাল্গুনেই উনি এমন বোধ করেন ৷ কিছুক্ষণ পর তিনি উপলব্ধি করলেন তাঁর অস্থিরতার কারণ , আজ ৮ ই ফাল্গুন !
৮ ই ফাল্গুন ! তিনি কিছুতেই ভুলতে পারেন না সেদিনের স্মৃতি ৷ চোখ বন্ধ করলেই আজ দেই স্মৃতি স্পষ্ট দেখতে পান ৷
১৯৫২ সালে তিনি ১৮ বছরের এক তরুণী ৷ বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ান হই হুল্লোড়ে মেতে থাকেন ৷ সেদিন ও তিনি ঘুরতে ঘুরতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গিয়েছিলেন ৷ কিন্তু গিয়ে চারিদিকের উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন ৷
পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে ৷লোকমুখে শুনলেন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ৷ চারিদিকে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়েছে ৷ ছাত্র জনতা এক হয়েছে রাষ্ট্রভাষা উর্দুর বদলে বাংলা করার দাবিতে ৷ সবাইকে জোটবদ্ধ হতে দেখে জাহানারা বেগম ও তাঁর সঙ্গী সাথীরা স্থির থাকতে পারলেন না ৷ মনের ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভের আগুনে যেন ঘি পড়ল ৷ পুলিশের জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ফেলার প্রত্যয়ে ছাত্ররা মিছিল শুরু করলো ৷
কারফিউ ভেঙ্গে মিছিলটি ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে থাকে ৷ সেই মিছিলে তাঁরাও যোগ দেন ৷ হঠাত করে পুলিশ মিছিলে গুলিবর্ষণ করতে থাকে ৷ মুহুর্তে ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে মিছিলটি ৷ প্রাণ হারান জাহানারা বেগম এর প্রিয় দুই বন্ধু শফিক জব্বার ৷
গুলি লেগেছিল জাহানারা বেগম এর পায়েও ৷ কিতু ঘটনার আকস্মিকতায় উনি প্রথমে বুঝতেই পারেন নি কি ঘটে গেল ৷ চারিদিকে মানুষের আর্তচিত্কার আর রক্ত দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন তিনি ৷ জ্ঞান ফেরার পর তিনি জানতে পারেন হাঁটা চলা করার ক্ষমতা হারিয়েছেন তিনি ৷ হুইল চেয়ারই তার পর থেকে তাঁর নিত্যসঙ্গী ৷
জাহানারা বেগম প্রতিবছরের ন্যায় আজও শহীদ মিনারে যাবেন ৷ গত চল্লিশ বছর ধরে এ কাজে তাঁর নিত্যসঙ্গী তুলি ৷ তুলিকে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন ৷ তাঁর একাকিত্বের জীবনে তুলি ছিল এক পরম পাওয়া ৷
গত ষাট বছর ধরে দেদীপ্যমান একুশের চেতনাকে তিনি ম্লান হতে দিতে চান না ৷ আমৃত্যু তিনি এই গর্ব নিয়েই বাঁচতে চান তিনি একজন ভাষা সৈনিক ৷৷
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
amar ami
তুমি এখনো তেমন করে গল্প লিখতে পারছনা, মনে হয় আরো মনোযোগী হতে হবে গল্পের প্রতি, তোমার লিখা পড়লে তোমার অস্থিরতা টের পাওয়া যায়( লিখতে বসে চিন্তা করা কখন শেষ হবে ) আর গল্পের প্লট কে যথাসম্ভব সুন্দর ও অনন্য ভাবে তুলে ধরতে হবে........প্রথমত চর্চা , ২য তে চর্চা এবং ৩য তেও চর্চা করতে হবে... আর পড়তে হবে গল্প, বুঝতে হবে কিভাবে মনের কথা গুলোকে সুন্দর ভাবে গল্পে রূপ দেওয়া যায়....
ওবাইদুল হক
জাহানারা বেগম প্রতিবছরের ন্যায় আজও শহীদ মিনারে যাবেন ৷ গত চল্লিশ বছর ধরে এ কাজে তাঁর নিত্যসঙ্গী তুলি ৷ তুলিকে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন ৷ তাঁর একাকিত্বের জীবনে তুলি ছিল এক পরম পাওয়া ৷
আবেগের কাছে পৃথিবী রাজ্যময় আপনার লেখায় সেই ভাব প্রকাশিত । শুভকামনা ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।